
বিমান: সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে মানুষ পাখির মতো আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল গত শতাব্দীর শুরুতেই। ১৯০৩ সালে রাইট ভাইয়েরা প্রথম আকাশে বিমান উড়িয়েছিলেন। তবে তার অনেক আগে থেকেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে মানুষ কীভাবে আকাশে ওড়া যায় তা নিয়ে।
বিমান ওড়ার আসল কৌশল ধরা রয়েছে এর আকৃতিতে। বায়ুর গতি বেশি হলে তার চাপ কম হবে আর গতি কম হলে চাপ বেশি হবে, এই নীতিকে কাজে লাগিয়েই আকাশে বিমান ওড়ানো হয়। বিমানের ডানার আকৃতি এমনই হয় যাতে নিচ থেকে বায়ুর চাপ বাড়ে আর উপর থেকে কমে। কিন্তু ঘটনা হল, শুধু এই বিজ্ঞানটুকুই তো সব নয়। আধুনিক যাত্রীবাহী বিমানে রয়েছে সমস্ত রকমের যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা। সেজন্য অন্য কৌশলের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রঙ-বেরঙের বইয়ের আড়ালে লুকিয়ে একটি পেনসিল, ১০ সেকেন্ডে খুঁজে পেলেই বাজিমাত
যাত্রী পরিবহণের ব্যবস্থা করতে গেলে শৌচালয় রাখতেই হয়। কিন্তু যাত্রীরা মাঝ আকাশে বর্জ্য ত্যাগ করলে সেই বর্জ্য যায় কোথায়! অনেক সময়ই বলা হল, বিমানের বর্জ্য পৃথিবীতে নেমে আসছে। কিন্তু আসলে এটা সত্য নয়। কোনও ভাবেই উড়ন্ত বিমান থেকে বর্জ্য মাটিতে পড়তে পারে না। সাধারণত বিমানে প্রায় ২০০ গ্যালন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাঙ্ক থাকে, যাতে বর্জ্য জমা হয়।
বিমানে থাকে ‘ভ্যাকুয়ম টয়লেট’ যা জল এবং বর্জ্যকে পৃথক করে ফেলতে পারে। তারপর সেই নোংরা জল এবং বর্জ্য পৃথক পৃথক ট্যাঙ্কে জমা হয়। এই বিশেষ ট্যাঙ্ক সাধারণত বিমানের পিছন দিকে থাকে। সেখানেই যাবতীয় বর্জ্য জমা হতে থাকে।
সেই বিমান কোনও বিমান বন্দরে অবতরণ করলেই বড় ট্রাক এসে মেশিনের সাহায্যে ওই ট্যাঙ্ক থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন করে ফেলে। তার ফলে বিমান আবার হালকা হয়ে উড়ে যেতে পারে।
যে বর্জ্য বিমান থেকে বের করে নেওয়া হল, তাকে আবার অন্য একটি ট্যাঙ্কে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। এটি বিমানবন্দরেই থাকে। সেখান থেকেই তা পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। আর কোনও অসুবিধা থাকে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Aeroplane
0 Comments